রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫০ অপরাহ্ন
জামালপুরের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া আহমেদুল কবিরের যে শাস্তি হবে, সেটি উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
নিজ কার্যালয়ের শয়নকক্ষে পর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর ঘটনায় আইনি কী ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে, উঠা এমন প্রশ্নের মধ্যে প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, সরকারি চাকরির বিধানে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়েছে।
ঘটনাটি ফাঁস হয়েছে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে। আর ভাইরাল হয়েছে শুক্রবার সকালের মধ্যে। সরকার ব্যবস্থা নিয়ে দ্রুততার সঙ্গে। দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রবিবার সকালেই আহমেদুল কবিরকে বিশেষ ভারপ্রপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বা ওএসডি করার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। সেখানে দায়িত্বে পাঠানো হয় পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত সচিব (উপসচিব) এনামুল হককে।
এ বিষয়ে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদেরকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই উদাহরণ সৃষ্টি করার মতো পানিশমেন্ট তার হবে। আমাদের চাকরির বিধানে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ রয়ে গেছে। সেটিই হবে। আমরা খুব দ্রুত একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারব।’
‘একটি কমিটি করে সেই কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হবে। কমিটি ভালোভাবে তদন্ত করে, বুঝে, কী ঘটেছে সেখানে, কতটুকু অনৈতিকতা সেখানে হয়েছে, সবকিছু বিচার-বিশ্লেষণ করেই কিন্তু এক্সামপ্লিয়ারি আমরা একটা প্রিম্যাটিক মেজার্স নেব।’
আহমেদুল কবির জেলা প্রশাসক হিসেবে বেশ দক্ষ ছিলেন বলে সরকারি নথিপত্র বলছে। তিনি কিছুদিন আগে ডিসির শুদ্ধাচার সনদ পেয়েছেন। পরনারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি ফাঁস হওয়ায় সেই সনদ ফিরিয়ে নেওয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
গত বৃহস্পতিবার রাতে একটি ফেসবুক পেজ থেকে চার মিনিট ৫৮ সেকেন্ডের ভিডিওটি আপলোড হয়। এতে আহমেদ কবীর ও ওই নারীর চেহারা মোটামুটি স্পষ্ট। বলা হচ্ছে ডিসি আহমেদ কবীরের অফিসে তার বিশ্রামের জন্য যে বিছানা পাতা হয়েছিল সেখানেই দুইজন শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। শুক্রবার আহমেদ কবীর সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন ভিডিওটি তার নয়। একটি চক্র তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে। অনৈতিক সুবিধা নিতে না পেরে তার বদনাম করার চেষ্টা করেছে।
এর মধ্যে শনিবার বিভিন্ন পর্ন সাইটে প্রায় ২৫ মিনিটের পুরো ভিডিওটি আপলোড হয়ে যায়। এতে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন ডিসি আহমেদ কবীর। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে থেকে সেদিনই জানানো হয়েছিল তারা এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।